আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হঠাৎ করে এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কতোটা প্রতিযোগিতামূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এবং অবাধ সুষ্ঠু হয় তা দেখতে চাই। উপজেলা নির্বাচনে। নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’

এসময় বিএনপির ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেন, ‘ভারত নির্বাচন নিয়ে অশুভ খেলার বিপক্ষে ছিলো। তারা আমাদের পাশে ছিলো। এজন্য ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলে বিএনপি। সবকিছু হারিয়ে বিএনপি এখন ভারত বিরোধীতায় নেমেছে। বিএনপির কিছু করার ক্ষমতা নেই। বিএনপির মিথ্যার রাজনীতি টিকবেনা। জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে এই ইলেকশন উম্মুক্ত করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য ব্যাহত করা যাবে না। প্রতিযোগিতা যারা করতে চায় করুক। উপজেলায় নির্বাচন সম্পূর্ণ ফ্রি এন্ড ফেয়ার করতে চাই। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। সারা বিশ্ব নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছে। ৮১টি দেশ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার সঙ্গে ৩২টি সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

সংগঠন যখন আছে সমস্যাও থাকবে এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ বড় দল, বড় দলে কখনো কখনো কিছু সমস্যা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বাধাগ্রস্ত করে। আমরা এবার প্রথম থেকেই আটঘাঁট বেঁধে নামতে চাই। নির্বাচনের পর থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রমে আমরা নজর দিয়েছি। কিছু কিছু জেলায় সমস্যার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। যার যেমন খুশি যখন-তখন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেবেন সেটার দায়িত্ব দল নেবে না। একটা দুইটা বক্তব্য পুরো দলের শৃঙ্খলার ওপর আঘাত হানে। তাতে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। জেলার সঙ্গে উপজেলা, উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়নের মাঝে সাংগঠনিক সেতু তৈরি করতে হবে। আমাদের যেখানে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় ওয়াল আছে তা ভেঙে দিতে হবে।’